সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর বাড়িতে পালিয়ে এসে বারেক হাওলাদার (৬০) নামে এক সবজি বিক্রেতার মৃত্যু ঘটেছে। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসংলগ্ন গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণে ওই বৃদ্ধ মারা যান। তিনি গত চার দিন ধরে সর্দি-জ্বরে ভুগছিলেন।
মৃত বারেক হাওলাদার গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণের বাসিন্দা মো. গণি হাওলাদারের ছেলে। তিনি ছয় সন্তানের জনক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সবজি বিক্রেতা বারেক হাওলাদার গত চার দিন আগে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। গত তিন দিন আগে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেন। পরামর্শ উপেক্ষা করে শনিবার ওই বৃদ্ধ বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
সেখানে চিকিৎসক তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তির নির্দেশনা দিয়ে যাবতীয় কাগজপত্র দেন। কিন্তু তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। রোববার রাতে তিনি বাসায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের স্বজনরা হাসপাতালে জানান।
হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক রোগীকে দেখতে আসার আগেই রাত সাড়ে ৯টার দিকে বৃদ্ধ মারা যান। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে তার করোনা পরীক্ষার জন্য চিকিৎসক নমুনা সংগ্রহ করেন। রাতেই প্রশাসনের উদ্যোগে উত্তর শিয়ালকাঠি পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এইচএম জহিরুল বলেন, সবজি বিক্রেতা ওই বৃদ্ধকে বাসায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। তিনি শনিবার হাসপাতালে না জানিয়ে বরিশাল মেডিকেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। কিন্তু গোপনে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসেন তিনি। এর পর বাসায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে রোববার দুপুরে গৌতম মণ্ডল (৫০) নামে এ পান ব্যবসায়ীর মৃত্যু ঘটে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে ভাণ্ডারিয়ায় এ পর্যন্ত মোট ছয়জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন। এ ছাড়া ভাণ্ডারিয়ায় এ পর্যন্ত ২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
Leave a Reply